Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
গাজী কালুর দরগাহ
কিভাবে যাওয়া যায়

বাস- ঢাকা থেকে প্রতিদিন সকাল ৭ থেকে ১০ টা এবং রাত ৮ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত গাবতলী ও সায়েদাবাদ থেকে বাস ছাড়ে আমতলীর উদ্দেশ্যে।

এছাড়াও কুয়াকাটার বাস আমতলীতে থামে ও যাত্রী বহন করে।
লঞ্চ- ঢাকা থেকে প্রতিদিন বিকাল ৫-৬ টা থেকে সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ে আমতলীর উদ্দেশ্যে। এছাড়া মোটর সাইকেল, স্টিমার ভাড়া করে নিয়ে আসা যায়।

যোগাযোগ

বাস- ঢাকা থেকে প্রতিদিন সকাল ৭ থেকে ১০ টা এবং রাত ৮ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত গাবতলী ও সায়েদাবাদ থেকে বাস ছাড়ে আমতলীর উদ্দেশ্যে।

এছাড়াও কুয়াকাটার বাস আমতলীতে থামে ও যাত্রী বহন করে।
লঞ্চ- ঢাকা থেকে প্রতিদিন বিকাল ৫-৬ টা থেকে সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ে আমতলীর উদ্দেশ্যে। এছাড়া মোটর সাইকেল, স্টিমার ভাড়া করে নিয়ে আসা যায়।

বিস্তারিত

গাজী কালুর দরগাহঃ গাজী কালু এক কিংবদন্তী। যখন এসব অঞ্চল গভীর অরণ্যতে পূর্ণ ছিল সেই দূর অতীত থেকে প্রচলিত এই কাহিনী। জানা যায়, গাজী এবং কালু শাহ নামক দুই সাধক পীর তাদের সাধনার দ্বারা বন-জংগলের সমস্ত হিংস্র পশু পাখির উপর কর্তৃত্ব লাভ করেন। তাদের কথা বা নির্দেশ ছাড়া হিংস্র পশুকুল কাউকে আক্রমণ করত না। এ বিষয়টি সু্‌দরবনের মধু, মোম আহরণকারী, বাওয়ালী ও জেলেরা জানত। তাই তারা বনে নামার আগে গাজী কালু পীরের দরগায় মানত করতে যেন তারা হিংস্র জন্তু আক্রমন থেকে নিরাপদ াকতে পারে। আমতলী উপজেলা হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন টেপুরা মৌজায় এই গাজী কালুর দরগা অবস্তিত, স্থানীয় ভাবে জানা যায় গাজী ও কালু পরস্পর দুই ভাই মতান্তরে মামা ভাগিনা ছিলেন। তাঁরা ছিলেন জাগ্রত পীর। মাঝে মাঝেই তারা এই টেপুরার দরগায় সাধনের জন্য বসতেন। এখানে তাদের দরগাহ বাড়িতে দুজনের ধ্যানের জন্য দুটি আসন রয়েছে। কাছাকাছি রয়েছে একটি পাকা ইন্দিরা, সামান্য দূরে রয়েছে তাদের শিষ্য বা বারো আউলিয়ার বসার স্থান। এলাকাটি দুর্গম, যথাযথ ভাবে সংরক্ষিতও নয়। কিন্তু প্রতিদিন বিপুল সংখাক পুন্যার্থী আগমন করেন এই মাজারে। প্রতি বছর ২৯ মাঘ ও ২৯ ফাল্গুন এখানে ওরশ অনুষ্ঠিত হয়। এখন আর সেই ঘন বন নেই, নেই এখানে সেই হিংস্র পশুও, কিন্তু রয়ে গেছে গাজী কালুর দরগাহ আর তাঁদের সেই কীংবদন্তী। এখনো সুন্দর বনের কাঠ-মধু-মৎস্য আহরণকারীরা পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করে গাজী কালুর নাম।